Table of Contents
- পাতলা খিচুড়ি রান্নার রেসিপি | Patla Khichuri Recipe Bengali
- পাতলা খিচুড়ি রান্নার রেসিপি উপকরনের নামসমূহ
- পাতলা খিচুড়ি রান্নার রেসিপি কোন উপকরণ কত টুকু লাগবে
- পাতলা খিচুড়ি রান্নার রেসিপি কিভাবে এটি রান্না করতে হয়
- পাতলা খিচুড়ি রান্নার রেসিপি খাওয়ার উপকারিতা
- পাতলা খিচুড়ি রান্নার রেসিপি খাওয়ার অপকারিতা
- Rk Raihan

পাতলা খিচুড়ি রান্নার রেসিপি – পাতলা খিচুড়ি বলতে অনেকটা নরম খিচুড়ি কে বোঝানো হয়।খিচুড়ির মধ্যে পাতলা খিচুড়ি বাঙালির সবচেয়ে জনপ্রিয় খাবার।অনেকে ভুনা খিচুড়ির চেয়ে পাতলা খিচুড়ি বেশি পছন্দ করে থাকেন কারন এটি তুলনামূলক নরম হয়ে থাকে।ছোট বাচ্চা হতে শুরু করে বৃদ্ধ বয়স্ক সকলেই পাতলা খিচুড়ি রান্নার রেসিপি পছন্দ করবেন।
পাতলা খিচুড়ি রান্নার রেসিপি | Patla Khichuri Recipe Bengali
অনেক সময় হোটেলে বা রেস্টুরেন্টে আমরা বিভিন্ন ধরনের খিচুড়ি খেয়ে থাকি। কিন্তু ম্যাক্সিমাম হোটেল অথবা রেস্টুরেন্টগুলোতে পাতলা খিচুড়ি পাওয়া যায় না বললেই চলে। পাতলা খিচুড়ির সঠিক রেসিপি জানা থাকলে এটি খুব সহজেই বাসায় নিজে তৈরি করে নেয়া যায়।
আরো পড়ুনঃ ১০টি সেরা উপায়ে ঘরে বসে আয় করুন
পাতলা খিচুড়ি রান্নার রেসিপি উপকরনের নামসমূহ
- বাসমতি চাল
- মুগডাল
- মুসরডাল
- মরিচ গুড়া
- হলুদ গুড়া
- আদা পেস্ট
- রসুন পেস্ট
- জিরার গুড়া
- পিঁয়াজ কুচি
- রসুন কুচি
- দারুচিনি
- এলাচ
- তেজপাতা
- কাঁচামরিচ
- ঘি
- তেল
- লবন
পাতলা খিচুড়ি রান্নার রেসিপি কোন উপকরণ কত টুকু লাগবে
- বাসমতি চাল – ৩ কাপ,
- মুগডাল – ২.৫ কাপ,
- মুসরডাল – ২ কাপ,
- মরিচ গুড়া – ২ চা. চামচ,
- হলুদ গুড়া – ২ চা. চামচ,
- আদা পেস্ট – ২ চা. চামচ,
- রসুন পেস্ট – ২ চা. চামচ,
- জিরার গুড়া – ২ চা. চামচ,
- পিঁয়াজ কুচি – ১ কাপ,
- রসুন কুচি – ২ চা. চামচ,
- দারুচিনি – ২ টা স্টিক,
- এলাচ – ৩/৪ টা,
- তেজপাতা – ২ টা,
- কাঁচামরিচ – ৭ টা,
- ঘি – ২ টে. চামচ,
- তেল – ৩ টে. চামচ এবং
- লবন – পরিমানমতো
- পানি-৮/৯ কাপ
পাতলা খিচুড়ি রান্নার রেসিপি কিভাবে এটি রান্না করতে হয়
- সর্বপ্রথম একটি পরিস্কার পাত্রে মুগ ডালগুলো ভেজে নিতে হবে,এরপর অন্য একটি পাত্রে চাল ও ডালগুলো ভালো করে মিশিয়ে পানি দিয়ে ধুয়ে চালনি দিয়ে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে।
- এরপর একটি পাত্রে তেল গরম করে দারুচিনি – ২ টা স্টিক,এলাচ – ৩/৪ টা, তেজপাতা – ২ টা, দিয়ে একটু নেড়ে এক কাপ পিঁয়াজ কুচি দিয়ে দিতে হবে।
- পেঁয়াজের রং হালকা বাদামি হওয়ার পর মরিচ গুড়া – ২ চা. চামচ,হলুদ গুড়া – ২ চা. চামচ, আদা পেস্ট – ২ চা. চামচ, রসুন পেস্ট – ২ চা. চামচ, ও জিরার গুড়া – ২ চা. চামচ, দিয়ে আবার ভালোকরে নাড়তে হবে ও কিছুক্ষন অপেক্ষা করে কষিয়ে নিতে হবে।
- এখন পানি ঝরিয়ে রাখা চাল ডাল গুলো দিয়ে পানি-৮/৯ কাপ দিতে হবে।পানি কম মনে হলে পরে আরো পানি যুক্ত করতে পারেন।যেহেতু একটি পাতলা খিচুড়ি তাই অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে যেন খিচুড়িটি বেশি পাতলা হয়ে যায় যদি কম অপেক্ষা করতে চান তাহলে হ্যান্ড ব্লেন্ডার দিয়ে খিচুড়িটা একটু ব্লেন্ড করে নিতে পারেন।
- পাতলা খিচুড়ি রান্নার রেসিপি এটিতে ঝালের স্বাদ ও ফ্লেভার বাড়াতে কাঁচামরিচ দিয়ে দিতে হবে। এখন আরো একটি ফ্রাই প্যানে তেল গরম করে, রসুন কুচি এবং বাকি পিঁয়াজ কুচি গুলো ভেজে নিতে হবে,
- এরপর খিঁচুড়িটাকে বাগার দিয়ে লবন টেস্ট করে দেখে প্রতিটি স্বাদ ঠিক থাকলে খিচুড়ির উপর ২ টেবিল চামচ ঘি দিয়ে কিছুক্ষন নেড়ে নামাতে হবে।
- পরিবেশনের সময় হালকা পেঁয়াজ বেরেস্তা দিয়ে অথবা ধনেপাতা দিয়ে পরিবেশন করতে পারেন।
- এই রান্না ট্টি খেতে কেমন এবং কখন কোন পরিবেশে খেতে হয়
- পাতলা খিচুড়ি রান্নার রেসিপি খেতে যেমন মজাদার তেমন সুস্বাদু। সাধারণত বৃষ্টির দিনে, শীতের দিনে,অসুস্থ হলে রোগ নিরাময়ে এই খিচুড়ি খাওয়া যেতে পারে।
- কিছু রোগীরা আছেন যারা অসুস্থতাকালীন ভারী খাবার খেতে পারেনা। তাদের জন্য পাতলা খিচুড়ি রান্নার রেসিপি একটি বেস্ট অপশন হিসেবে কাজ করে।
পাতলা খিচুড়ি রান্নার রেসিপি খাওয়ার উপকারিতা
- পাতলা খিচুড়ি রান্নার রেসিপি এর অনেক উপকারিতা রয়েছে যা আমাদের অনেকেরই অজানা।তাহলে জেনে নেয়া যাক পাতলা খিচুড়ি রান্নার রেসিপি আমাদের মানব দেহে কি কি উপকার বয়ে আনে।
- স্বাস্থ্যকর সামগ্রীসমূহ: পাতলা খিচুরি বিভিন্ন উপাদান যেমন চাল,মসুর ডাল, সবজি ইত্যাদি সম্মিলিতভাবে পুষ্টি সর্বরাহ করে।এছাড়া প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন, মিনারেলস এবং কার্বোহাইড্রেটের এই মিশ্রণটি শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে সাহায্য করে।
- পুষ্টি সরবরাহ: পাতলা খিচুরি প্রোটিন এবং সবজির মধ্যে উচ্চ মাএায় পুষ্টি সরবরাহ করে, যা শারীরের সঠিক বৃদ্ধি, পুষ্টি মজুদ করে এবং মানসিক সাস্থ্যের উন্নতিতে সহায়তা করে।
- পাচনশক্তি বৃদ্ধি: যা খাবারকে সহজে পাচন করতে সাহায্য করে।
- ডেইরি উপাদান সরবরাহ: পাতলা খিচুরি ডেইরি উপাদান যেমন ঘি সহজে সংযোজন করা যায়, যা শিশুর বৃদ্ধি ও উন্নত স্বাস্থ্যে সাহায্য করে।
- পর্যাপ্ত প্রোটিন: পাতলা খিচুরি প্রোটিনের পরিমাণ সরবরাহ করে, যা শারীরিক বৃদ্ধি ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নততে সাহায্য করে।
- স্বাস্থ্যকর ও শক্তিশালী শরীর: পাতলা খিচুরি পুষ্টি এবং স্বাস্থ্যকর সামগ্রী সরবরাহ করে, যা শিশুর শরীর শক্তিশালী ও স্বাস্থ্যকর রেখে তাকে সম্পূর্ণ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
- প্যাক্টিন ফাইবার: ফাইবার পাচন সিস্টেম স্বাস্থ্যকর রাখে, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে।
- ভিটামিন এ ও সি: পাতলা খিচুড়িতে সবজির যুক্ত করে ভিটামিন এ ও সি এর চাহিদা পূরন করা যায়, যা শরীরকে শক্তিশালী এবং স্বাস্থ্যকর রাখতে সাহায্য করে।
- আয়রন এবং ক্যালসিয়াম: পাতলা খিচুড়িতে মসুর ডাল এবং সবজির উপস্থিতি মধ্যে আয়রন এবং ক্যালসিয়াম প্রদান করে। এই মিনারেলগুলি শারীরিক উন্নতি, স্বাস্থ্য এবং হেমোগ্লোবিন উৎপন্ন করাতে সাহায্য করে।
- অলিগো ইলিমেন্টগুলি: পাতলা খিচুড়ি সম্পূর্ণ পোষণ প্রদান করে, যা শিশুর উন্নত ডেভেলপমেন্ট সাহায্য করে।
পাতলা খিচুড়ি রান্নার রেসিপি খাওয়ার অপকারিতা
- পাতলা খিচুড়ি রান্নার রেসিপি এটি খাওয়ার উপকারিতার পাশাপাশি কিছু অপকারিতাও রয়েছে। এই খিচুড়িতে যেহেতু বিভিন্ন ধরনের মসলা ব্যবহৃত হয়েছে আমরা জানি কিছু রোগীদের মসলা জাতীয় খাবার খাওয়া একদমই নিষিদ্ধ।
- তাই যাদের ওজন দৈহিক উচ্চতা অনুযায়ী অতিরিক্ত বেশি এবং খাওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিধি নিষেধ রয়েছে এবং জটিল রোগবালাই রয়েছে তাদের এই রেসিপিটি খাওয়ার সময় অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে যেন এটি তার দেহে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি না করে।
- সুতরাং বলা যায়, পাতলা খিচুড়ি রান্নার রেসিপি অসুস্থ রোগীদের জন্য বিশেষ ভূমিকা পালন করবেন।