- ভাতের চালের খিচুড়ি রেসিপি | vater chaler khichuri
- ভাতের চালের খিচুড়ি রেসিপি রান্নার উপকরনসমূহ
- ভাতের চালের খিচুড়ি রেসিপি উপকরণের পরিমান
- ভাতের চালের খিচুড়ি রেসিপি কিভাবে রান্না করতে হয়
- এই রান্নাটি খেতে কেমন এবং কখন কোন পরিবেশে খেতে হয়
- ভাতের চালের খিচুড়ি রেসিপি রান্না খাওয়ার উপকারিতা ও পুষ্টি উপাদানসমূহ
- ভাতের চালের খিচুড়ি রেসিপি রান্না খাওয়ার অপকারিতা
- Rk Raihan

ভাতের চালের খিচুড়ি রেসিপি | vater chaler khichuri – খিচুড়ি একটি ভাত জাতীয় খাবার হলেও এর স্বাদ ভাত থেকে একদমই ভিন্ন।অঞ্চল ভেদে খিচুড়ির বিভিন্ন প্রকারভেদ হয়ে থাকে তার মধ্যে ভাতের চালের খিচুড়ি রেসিপি অন্যতম।বাঙালি ভোজের মধ্যে চালের খিচুড়ি একটি অন্যতম খাবার। এটি যদি হয় ভাতের চালের খিচুড়ি রেসিপি তাহলে তো কোন কথাই নেই।
ভাতের চালের খিচুড়ি রেসিপি | vater chaler khichuri
ভাতের চালের খিচুড়ি রেসিপি রান্না করতে তেমন পারদর্শী হতে হয় না চাইলেই আপনি খুব সহজে ঘরে তৈরি করে নিতে পারেন।
ভাতের চালের খিচুড়ি রেসিপি এমন একটি মজাদার ও লোভনীয় খাবার যেটি হলে আমাদের অন্য কোন খাবারের প্রয়োজনবধ মনে হয় না।সর্বপ্রথম জেনে নেয়া যাক ভাতের চালের খিচুড়ি রেসিপি এর উপকরণসমূহ:
ভাতের চালের খিচুড়ি রেসিপি রান্নার উপকরনসমূহ
ভাতের চাল
মসুর ডাল
আদা বাটা
রসুন বাটা
এলাচ
দারুচিনি
সরিষার তেল
লবণ
হলুদ গুঁড়া
মরিচ গুঁড়া
কাঁচামরিচ
পানি
ধনেপাতা
ভাতের চালের খিচুড়ি রেসিপি উপকরণের পরিমান
- ৩ কাপ ভাতের চাল
- ২ কাপ মসুর ডাল
- ১.৫ চা চামচ আদা বাটা
- ১ চা চামচ রসুন বাটা
- ৪ টি এলাচ
- ২ টুকরা দারুচিনি
- ১ কাপ সরিষার তেল
- পরিমাণমতো লবণ
- ১ চা চামচ হলুদ গুঁড়া
- ১ চা চামচ মরিচ গুঁড়া
- ৬ টা কাঁচামরিচ
- ৫ কাপ পানি
- ফ্লেভার বৃদ্ধির জন্য ধনেপাতা
ভাতের চালের খিচুড়ি রেসিপি কিভাবে রান্না করতে হয়
- ভাতের চালের খিচুড়ি রেসিপি রান্নার জন্য সর্বপ্রথম একটি পরিষ্কার পাত্র ব্যবহার করতে হবে।
- পরিষ্কার পাএে ৩ কাপ ভাতের চাল ভালো মতো ধুয়ে মিনিমাম ৫ ঘন্টা যাবৎ ভিজিয়ে রাখতে হবে।অন্য একটি পাত্রে ২ কাপ মসুর ডাল ভিজিয়ে রাখতে হবে।কয়েক ঘন্টা অপেক্ষা করার পর চাল ও ডালগুলো থেকে পানি ঝরিয়ে আলাদা করে রাখতে হবে।
- এরপর একটি পাত্রে ১ কাপ সরিষার তেল গরম করে নিতে হবে। সরিষার তেল গরম হবার পর এখানে ১.৫ চা চামচ আদা বাটা ও ১ চা চামচ রসুন বাটা মিশ্রিত করতে হবে এবং এটি ভালোভাবে কিছুক্ষন নাড়তে হবে।
- এরপর ৪ টি এলাচ ও ২ টুকরা দারুচিনি যোগ করতে হবে। উক্ত উপকরণগুলো কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করার পর চাল ও ডাল এর মধ্যে দিয়ে দিতে হবে। এরপর চাল ডাল দিয়ে উক্ত উপকরণগুলোর ভালোভাবে মিশ্রিত হওয়ার জন্য কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে এবং ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।
- কিছুক্ষণ অপেক্ষা শেষে ঢাকনা উঠানোর পর পরিমাণমতো লবণ, ১ চা চামচ হলুদ গুঁড়া, ১ চা চামচ মরিচ গুঁড়া ও ৬ টা কাঁচামরিচ যোগ করতে হবে।
- উপকরণগুলো মিশ্রিত হওয়ার ফলে ভাতের চালের খিচুড়ি রেসিপি আরো মজাদার আকার ধারণ করবে।এরপর আরো কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর চাল ডাল সিদ্ধ হলে ৫ কাপ পানি সংযুক্ত করতে হবে।পানি দেয়ার পর আরো কিছুক্ষন খিচুড়ি প্রস্তুত হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
- তারপর পানি আস্তে আস্তে শুকিয়ে আসার পর খিচুড়ি নামিয়ে ফেলতে হবে।ফ্লেভার বৃদ্ধির জন্য খিচুড়ির ওপর ধনেপাতা এবং ২ চামচ হালকা করে ঘি দেয়া যেতে পারে।ভাতের চালের খিচুড়ি রেসিপি রান্নাটি সম্পূর্ণ হয়ে গেলে সুন্দর একটি পাত্রে পরিবেশন করতে হবে।
এই রান্নাটি খেতে কেমন এবং কখন কোন পরিবেশে খেতে হয়
বৃষ্টিবিলাস দিন ছাড়া যেন খিচুড়ি খাওয়ার আনন্দ জমেই উঠে না।সাধারণত বৃষ্টির দিনগুলোতে ভাতের চালের খিচুড়ি রেসিপি খাওয়ার মজাই আলাদা।
এই রান্নাটি খেতে খুব মজাদার এবং সুস্বাদু হয়ে থাকে যা সবাই পছন্দ করবে।প্রাকৃতিক শান্ত ও বৃষ্টি বিলাস জাতীয় কোন পরিবেশে ভাতের চালের খিচুড়ি রেসিপি খেতে বেশ সুস্বাদু পূর্ণ হবে।
রান্নাটি এতটাই মজাদার এবং সুস্বাদু পূর্ণ যে বাসায় যেকোনো সময় মেহমান আসলে, উৎসবমুখর অনুষ্ঠানে তাদের আপ্যায়নে খাবার টি পরিবেশন করা যেতে পারে।
ভাতের চালের খিচুড়ি রেসিপি রান্না খাওয়ার উপকারিতা ও পুষ্টি উপাদানসমূহ
- আমরা কমবেশি বিভিন্ন ধরনের চালের ভাত খেয়ে থাকি।যেহেতু আমরা মাছে ভাতে বাঙালি ভাত ছাড়া প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা আমাদের জন্য অপূর্ণ। তার মধ্যে মসুর ডাল আমরা খাদ্য তালিকায় সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করে থাকি।ভাতের চালের খিচুড়ি রেসিপি এটিতে অনেক ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা আমাদের শরীরে বিশেষ উপকারে আসতে পারে।
- ভাতের চালের খিচুড়ি অনেক উপকারিতা বয়ে আনে। এই খিচুড়ি পুষ্টির দ্বারা অভিযান্ত্রিক হয়ে থাকে এবং এটি আমাদের শরীরের জরুরি পুষ্টি প্রদান করে। এটি প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল এবং উচ্চ ফাইবারের উত্তম উৎস। এটি পেট শান্ত রাখার সাথে সাথে আপনার ডাইজেস্টিভ সিস্টেমকে সাহায্য করে এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে। এটি সহজে পাচন হয় এবং আপনার শরীরে শক্তি তৈরি করে।
- এই খিচুড়ি আপনার দেহে একেবারে ভাল প্রভাব ফেলার সাথে সাথে আপনার রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। এটি আপনার শরীরে শুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করতে পারে, যা ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। খিচুড়ির আগমনে পাচন সিস্টেমের তন্ত্র সচেতন থাকে এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি কমিয়ে আনার সাথে সাথে রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে।
- এছাড়াও, খিচুড়ি খাওয়ার কিছু অতিরিক্ত সুবিধা আছে।যেমন- এটি পাচন সিস্টেম শান্ত করে, কম কোলেস্টেরল এর মাএা বজায় রাখে, ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং ত্বকের স্বাস্থ্যকে উন্নত করে।
- খিচুড়িতে বিভিন্ন সব্জি অথবা ডাল যোগ করা যেতে পারে, যা খিচুড়ির পুষ্টির মান আরও বাড়াতে সাহায্য করে।
- বিশেষভাবে, ভাতের চালের খিচুড়ি অধিকাংশই সাধারণ খাদ্য উপাদান থেকে তৈরি হয়, যা তার ব্যবহার আরও গুরুত্বপূর্ণ করে। সাদা ভাত থেকে খিচুড়ি তৈরি করা যেতে পারে, এবং যদি আপনি মূলত সাদা ভাত ব্যবহার করেন, তাহলে আপনি গ্লিউটেন মুক্ত আহার পাচ্ছেন।
- খিচুড়ি খাওয়া যাতে আপনার সেহতে আরও ভাল প্রভাব ফেলে, আপনি প্রোটিন সোর্স হিসেবে সাদা ডাল, মুগ ডাল, আরও সব্জি বা মাংস যোগ করতে পারেন। এই যোগাযোগে খিচুড়ির পুষ্টি মান আরও বাড়ে এবং সাথে আমিষ, ডাল, ও সব্জির মিশ্রণে এটি একটি সম্পূর্ণ খাবার হয়ে যায়।
- আপনি খিচুড়িতে আপনার পছন্দের মসলা এবং গরম তেল সহ যা চান তা যোগ করতে পারেন, যাতে আপনি এটি আপনার স্বাদ মত করতে পারেন।
ভাতের চালের খিচুড়ি রেসিপি রান্না খাওয়ার অপকারিতা
- যে সকল ব্যক্তিদের দেহের ওজন অতিরিক্ত বেশি তাদের এই ভাতের চালের খিচুড়ি রেসিপি পরিমাণমতো খেতে হবে তা না হলে অতিরিক্ত ওজন বেড়ে দৈহিক ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়ায়।
- যাদের শরীরে অতিরিক্ত ওজন বেশি তাদের কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিন জাতীয় খাদ্য পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত।কারণ ভাতের চালের খিচুড়ি রেসিপি এটিতে কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিনের পরিমাণ বেশি রয়েছে।