- যে ১৫ টি কারণে নারীরা জাহান্নামে যাবে
- ০১। নারীদের জাহান্নামে যাবার কারণ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ না পড়া
- ০২। নারীদের জাহান্নামে যাবার কারণ যাকাত প্রদান না করা
- ০৩। নারীদের জাহান্নামে যাবার কারণ নেইলপলিশ ব্যবহার ও কপালে টিপ পড়া
- ০৪। নারীদের জাহান্নামে যাবার কারণ পরিপূর্ণ পর্দা না করা
- ০৫। নারীদের জাহান্নামে যাবার কারণ কৃপণতা করা
- ০৬। নারীদের জাহান্নামে যাবার কারণ কোরবানি না করা
- ০৭। নারীদের জাহান্নামে যাবার কারণ গীবত ও পরনিন্দা করা
- ০৮। নারীদের জাহান্নামে যাবার কারণ বিধর্মীদের অবলম্বন করা
- ০৯। নারীদের জাহান্নামে যাবার কারণ অহংকার করা
- ১০। নারীদের জাহান্নামে যাবার কারণ অবহেলা ও স্বামীর প্রতি কৃতজ্ঞ না হওয়া
- ১১। নারীদের জাহান্নামে যাবার কারণ অশ্লীলভাষা ব্যবহার
- মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন
- ১২। নারীদের জাহান্নামে যাবার কারণ জেনা ও ব্যভিচার
- ১৩। নারীদের জাহান্নামে যাবার কারণ হিংসা ও খোটা দেওয়া
- ১৪। নারীদের জাহান্নামে যাবার কারণ অন্যের হক নষ্ট
- ১৫। নারীদের জাহান্নামে যাবার কারণ কুফরি কাজ
- আর্টিকেলের শেষকথাঃ যে ১৫ টি কারণে নারীরা জাহান্নামে যাবে
- Rk Raihan

যে ১৫ টি কারণে নারীরা জাহান্নামে যাবে – মহান আল্লাহতালা আমাদের সকলকে দুনিয়াতে সৃষ্টি করেছেন তার ইবাদত বন্দেগী করার জন্য।
একজন মুসলিম ও সামাজিক জীব হিসেবে মানুষের বিভিন্ন জিনিসের প্রতি বা কাজের প্রতি হালাল চাহিদা বা শখ থাকা স্বাভাবিক, মহান আল্লাহ আমাদের সকল চাহিদা কে হালালভাবে সম্পন্ন করার সুযোগ দিয়েছেন।
যেন আমরা হারাম পথে ধাবিত না হয়ে যাই। কিন্তু বর্তমান সময়ে সমাজে এমন অনেক নারীরা আছেন যারা এমন কিছু পাপ কর্ম করে ফেলে যা তাদেরকে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যেতে পারে। আমরা জানি পুরুষের তুলনায় নারীরা বেশি জাহান্নামী হবে।
যে ১৫ টি কারণে নারীরা জাহান্নামে যাবে
এমন কিছু কারণ রয়েছে যার কারনেই নারী জাতিরা সবচেয়ে বেশি জাহান্নামী হয়ে থাকে। শুনতে খারাপ লাগলেও ১৪০০ বছর পূর্বে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এটি আমাদের কাছে বর্ণনা করে গিয়েছেন। চলুন জেনে নিই যে ১৫ টি কারণে নারীরা জাহান্নামে যাবে।
০১। নারীদের জাহান্নামে যাবার কারণ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ না পড়া
যে ১৫ টি কারণে নারীরা জাহান্নামে যাবে তার মধ্যে প্রথম ও অন্যতম একটি হচ্ছে নামাজ না পড়া। ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে নামাজ একটি। নামাজ ব্যতীত আমাদের কোন ইবাদত কবুল হবে না।
অনেক নারীরা রয়েছেন যারা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেনা, চার ওয়াক্ত আদায় করে অথবা মাঝে মাঝে নামাজ আদায় করে থাকেন। যা সম্পূর্ণ ইসলাম পরিপন্থী বা ইসলাম বিরোধী কর্ম।
আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফজর নামাজের প্রতি বেশি তাগিদ দিয়েছেন যেন আল্লাহ তাআলার কোন বান্দার ফজরের নামাজ ছুটে না যায়। ফজরের নামাজে এতটাই বরকত রয়েছে যা আমাদের সারাদিনকে একটি সুন্দরতম দিন হিসেবে গঠিত করতে পারে।
যে সকল নারীরা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সঠিকভাবে আদায় করবে না তাদেরকে মৃত্যুর পরবর্তী জীবনে জাহান্নামের কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হবে। হাদিসে বলা হয়েছে বেনামাজির হাতের কোন খাবার খাওয়া যাবেনা, এমনকি বেনামাজিকে মৃত্যুর সময়ও কঠিন পরিস্থিতি সম্মুখীন হতে হবে।
০২। নারীদের জাহান্নামে যাবার কারণ যাকাত প্রদান না করা
যে ১৫ টি কারণে নারীরা জাহান্নামে যাবে দ্বিতীয়টি হচ্ছে যাকাত প্রদান না করা। আমাদের সমাজে এমন অনেক কৃপণ নারী রয়েছেন যারা যাকাতের ব্যাপারে খুবই উদাসীন।
হয়তো তাদের আলমারি ভর্তি অনেক গহনা, স্বর্ণ, টাকা-পয়সার, দুনিয়াবী সম্পত্তির কোন কমতি নেই তবুও তারা কখনো সঠিকভাবে যাকাত আদায় করে না।
এমন অনেক নারী রয়েছেন যাদের স্বামীর পরিপূর্ণ অর্থ সম্পদ থাকার পরেও তারা হালালভাবে নিজে স্বাবলম্বী হয়েছে তবুও তারা যাকাত আদায় করছে না। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যার সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণ রয়েছে তার উপর যাকাত প্রদান করা ফরজ, শুধু অর্থ সম্পত্তির যাকাত দিলেই হবে না বরং স্বর্ণ-গহনার ও যাকাত প্রদান করতে হয়।
যদি কোন নারী সঠিক নিয়মে যাকাত আদায় না করে তাহলে তার সম্পদ কিয়ামতের দিন তাকে সাপ হয়ে দংশন করবে। এটি এতই ভয়ানক এই সাপের এক ফোঁটা বিষ যদি দুনিয়াতে নিক্ষেপ করতো তাহলে পুরো দুনিয়া ধ্বংস হয়ে যেত। তাহলে পৃথিবীতে কোন কিছুই জন্ম নিতে পারত না।
যে সকল নারীরা সঠিকভাবে যাকাত আদায় করবে না তাদের অর্থ সম্পদ কিয়ামতের দিন পিঠের উপর ছুড়ে মারা হবে এবং বলা হবে “নাও তোমরা তোমাদের সম্পদ ভোগ করো”। শুধু স্বামী যাকাত দিলে হবে না স্ত্রীর উপর যদি যাকাত ফরজ হয় তাহলে তাকে অবশ্যই দিতে হবে।
০৩। নারীদের জাহান্নামে যাবার কারণ নেইলপলিশ ব্যবহার ও কপালে টিপ পড়া
যে ১৫ টি কারণে নারীরা জাহান্নামে যাবে তার মধ্যে তৃতীয়টি হচ্ছে নেইলপলিশ ব্যবহার ও কপালে টিপ পড়া।
কোন নারী যদি পরিপূর্ণ পর্দা মেইনটেইন করে সাজগোজ করে তাহলে সেটি জায়েজ। কিন্তু এমন কিছু সাজগোজ রয়েছে যা ইসলামে একদমই হারাম- যেমন কপালে টিপ পরা এবং নখে নেলপলিশ ব্যবহার করা। কপালে টিপ ব্যবহার করা
বিধর্মীদের কাজ যা একটি মুসলিম ও দ্বীনদার নারীর মধ্যে শোভা পায় না। এমনকি নেলপলিশ এমন একটি বস্তু যা নথে ব্যবহারের মাধ্যমে অজু হয় না, গোসল হয় না, নামাজ আদায় হয় না। অজু না হলে গোসল নামাজ আদায় হবে না যার ফলে নাপাক রয়ে যাবে। মানে আল্লাহর দরবারে কোন ইবাদত কবুল হবে না ।
০৪। নারীদের জাহান্নামে যাবার কারণ পরিপূর্ণ পর্দা না করা
পর্দা মেইনটেইন করা একজন মুসলিম নারীর জন্য অত্যাবশক। এমনকি পর্দা ভঙ্গের কারণে অন্যের গুনাহের পরিমান নিজের আমলনামায়ও জারি হতে পারে।
যেমন- নারীর এই বাহ্যিক সৌন্দর্য চুল, চেহারা, শরীরের যেকোন অংশ মাহারাম ব্যতীত কোন বেগানা পুরুষের দেখা হারাম, কোন নন-মাহারাম পুরুষ যদি তার বাহ্যিক সৌন্দর্য দেখে ফেলে তাহলে সেই পুরুষ ব্যক্তির যে পরিমাণ গুনাহ হবে নারীরও সেই পরিমাণ গুনাহ হবে।
যে ১৫ টি কারণে নারীরা জাহান্নামে যাবে তার মধ্যে চতুর্থটি হচ্ছে পরিপূর্ণ পর্দা না করা। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন শেষ জামানায় এমন কিছু নারী আসবে যারা চুলে খোপা করবে উটের পিঠের মত, তাদের চলাফেরা হবে খুবই উশৃংখল পোশাক হবে খুবই উশৃংখল যা তাদের সৌন্দর্যকে বাহিরে প্রকাশ করবে এবং তারা পুরুষদেরকে আকৃষ্ট করবে এবং তারাও পুরুষদের প্রতি আকৃষ্ট হবে।
মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন জান্নাতের সুঘ্রান ৫০০ বছরের রাস্তার দূরত্ব হতে পাওয়া যায়। যে সকল নারীরা পরিপূর্ণ পর্দা মান্য করবে না তারা জান্নাতের সুঘ্রান ও পাবে না।
০৫। নারীদের জাহান্নামে যাবার কারণ কৃপণতা করা
যে ১৫ টি কারণে নারীরা জাহান্নামে যাবে তার পঞ্চম কারণ হচ্ছে কৃপণতা করা। আমাদের সমাজে এমন অনেক নারীরা রয়েছেন যারা দান করতে খুব কৃপণতা করে থাকেন।
তাদের প্রচুর পরিমাণ অর্থ সম্পদ থাকার পরেও তারা সঠিকভাবে গরিবদেরকে বা অসহায় ব্যক্তিদেরকে দান করতে চান না।
মহান আল্লাহ তা’আলা বলেছেন যে ব্যক্তি দান করবে সে আল্লাহতালার নিকটতম এবং সে জান্নাতের ও নিকটতম।যে ব্যক্তি সঠিক ভাবে দান করবে না সে আল্লাহ তাআলার নিকটতম হতে পারবেনা এমনকি জান্নাতের নিকটতমও না ।
০৬। নারীদের জাহান্নামে যাবার কারণ কোরবানি না করা
যে ১৫ টি কারণে নারীরা জাহান্নামে যাবে তার মধ্যে কোরবানি না করা একটি। এমন কিছু নারী রয়েছেন যার উপর যাকাত ফরজ এমনকি কোরবানিও ওয়াজিব হয়ে যায় কিন্তু সে স্বামীর উপর নির্ভরশীল হয়ে থাকে সে বছরে কোরবানি ঈদের সময় কোরবানির হক আদায় করেনা।
কোরবানি ওয়াজিব হয়েছে এটি জানা সত্ত্বেও যদি কোন নারী কোরবানির হক আদায় না করে তাহলে তাকে জাহান্নামের কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হবে।
০৭। নারীদের জাহান্নামে যাবার কারণ গীবত ও পরনিন্দা করা
জাহান্নামে যাওয়ার জন্য একজন নারীর গীবতের চেয়ে ভয়ংকর পাপ আর কিছুই হতে পারে না। যে ১৫টি কারণে নারীরা জাহান্নামে যাবে তার মধ্যে গীবত জঘন্যতম অপরাধ।
অনেক সময় অনেকজন নারী একসঙ্গে বসে গল্প করলে বা কথা বললে গীবত সৃষ্টি হয়, একজন অন্যজনের নামে এমন কিছু কথা বলে থাকেন যা একদম অযৌক্তিক আলাপ। গীবত পরনিন্দা পরচর্চা এই তিনটি শব্দ একে অপরের পরিপূরক। গীবতের মাধ্যমে একজন ব্যক্তির সম্মান মর্যাদা এমন ভাবে নষ্ট করা হয় যা সে শুনলে কষ্ট পাবে।
বিনা প্রয়োজনে কাউকে কষ্ট দিয়ে কথা বলা বা তার পিছনে কথা বলা এর জন্য তাকে আল্লাহর নিকট কঠিন জবাব এর সম্মুখীন হতে হবে এবং কিয়ামতের দিন তাকে জাহান্নামের কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হবে।
০৮। নারীদের জাহান্নামে যাবার কারণ বিধর্মীদের অবলম্বন করা
এমন অনেক নারীরা রয়েছেন যারা বিধর্মীদের পোশাক ফ্যাশন চলাফেরা ফলো করে থাকেন। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যারা বিধর্মীদের কালচার ঐতিহ্য ফলো করবে সে সকল নারীরা জাহান্নামি হবে।
যে ১৫টি কারণে নারীরা জাহান্নামে যাবে তার মধ্যে বিধর্মীদের অবলম্বন করা একটি ঘৃণ্য কাজ।
০৯। নারীদের জাহান্নামে যাবার কারণ অহংকার করা
বর্তমান সময়ে কিছু নারী আছে যাদের পিতা, স্বামীর সম্পদের পরিমাণ খুব বেশি বা তারা সম্ভ্রান্ত পরিবারে সন্তান। যার কারণে তাদের সামনে অন্য কোন নারীর প্রশংসা করলে তার কাছে বিষয়টি সহ্য হয় না। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যার অন্তরে বিন্দু পরিমাণ অহংকার থাকবে সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।
যে ১৫টি কারণে নারীরা জাহান্নামে যাবে অহংকার করা চরিত্রের সবচেয়ে নিন্দনীয় কাজের মধ্যে একটি।
অনেক নারীরা রয়েছেন যারা নিজেদের সৌন্দর্যের অহংকার করে থাকেন। মহান আল্লাহতায়ালা বলেছেন “আমি তোমাদের মাটি থেকে সৃষ্টি করেছি এবং আমি তোমাদেরকে আবার মাটিতেই ফিরিয়ে নেব সুতরাং কোন ধরনের অহংকার কোন কাজেই আসবে না।”
১০। নারীদের জাহান্নামে যাবার কারণ অবহেলা ও স্বামীর প্রতি কৃতজ্ঞ না হওয়া
নারীদের গুনাহের মধ্যে অন্যতম আরেকটি বিষয় হচ্ছে অবহেলা করা। অনেক নারীরা রয়েছেন যারা স্বামীর কাছে অনেক কিছু আবদার করে থাকেন কিন্তু তারা এটি নিয়ে একদমই খেয়াল রাখেন না যে তাদের স্বামী বৈধভাবে নাকি অবৈধভাবে তাদের চাহিদাগুলো পূরণ করছে। এই বিষয়ে অনেক নারীরাই অবহেলা করে থাকেন। এসকল বিষয়ে অবহেলা করাও জাহান্নামে যাওয়ার একটি কারণ।
যে ১৫টি কারণে নারীরা জাহান্নামে যাবে স্বামীর প্রতি কৃতজ্ঞ না হওয়া তার মধ্যে কুরুচিপূর্ণ ব্যবহার। এমন কিছু নারী রয়েছেন যারা স্বামীর ইনকামে অথবা অবস্থান নিয়ে কখনো সন্তুষ্ট হতে পারে না।
তাদের এমন কিছু অপ্রয়োজনীয় চাহিদা থাকে যা স্বামীর পক্ষে পূরণ করা অসম্ভব হয়ে যায়। তখন স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ছোটখাটো বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য লেগেই থাকে যা সাংসারিক জীবনে করুন প্রভাব পড়তে পারে। যে সকল নারী স্বামীর অবস্থানের প্রতি কৃতজ্ঞ হতে পারে না তারা জান্নাতে যাবে না।
১১। নারীদের জাহান্নামে যাবার কারণ অশ্লীলভাষা ব্যবহার
কিছু নারীরা রয়েছেন যারা নামাজ, রোজা, পর্দা, অনেক ধরনের ইবাদত করে থাকেন। কিন্তু মুখের ভাষা এতটাই কুরুচিপূর্ণ যে তাদের ব্যবহারে পাড়া- প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজন সকলেই কষ্ট পেয়ে থাকেন। এ সকল নারীরা অবশ্যই জাহান্নামে যাবে।
যে ১৫টি কারণে নারীরা জাহান্নামে যাবে অশ্লীল ভাষা ব্যবহার একটি চরম অপরাধ যা মানুষের মনে কষ্ট দেয়৷৷
মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন
প্রকৃত মুসলিম হচ্ছে সেই ব্যক্তি যার ব্যবহারের কারনে অন্য মুসলিমও নিরাপদবোধ করে থাকেন। (মুসলিম)। অশ্লীল ভাষা ও খারাপ ভাষা ব্যবহারকারী নারীদের জিহ্বা কিয়ামতের দিন ঝুলন্ত অবস্থায় রাখা হবে।
১২। নারীদের জাহান্নামে যাবার কারণ জেনা ও ব্যভিচার
যে ১৫টি কারণে নারীরা জাহান্নামে যাবে তার মধ্যে জিনা ও ব্যভিচার দুনিয়া ও আখেরাতের জন্য একটি নিন্দনীয় অপরাধ।
বর্তমান যুগে এমন কিছু নারীরা রয়েছেন যারা পরিপূর্ণ পর্দা মেইনটেন করেও জেনা ও ব্যভিচারে লিপ্ত হয়ে থাকেন। তারা অনেক সময় মাহারাম ও নন মামা হারামের পার্থক্য মেনে চলার না।
অনেক পরিবারের নারীরা রয়েছেন যারা বিবাহের পরেও দেবর থেকে বা অন্য যে কোন পর পুরুষ থেকে নিজেকে হেফাজতে রাখতে পারছেন না, তারা বিভিন্ন ধরনের অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত আছেন।
মহান আল্লাহ তাআলা সকল নারীকে লজ্জাস্থান হেফাজত করার জন্য কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন। লজ্জাস্থান হেফাজত না করলে সেই নারী জান্নাতে যেতে পারবে না।
যে সকল নারী এই ধরনের পাপ কাজে লিপ্ত থাকবে কিয়ামতের দিন তাকে স্তনে ঝুলন্ত অবস্থায় রেখে দেওয়া হবে। মহান আল্লাহতালা লজ্জাস্থান হেফাজতকারী নারীকে জান্নাতের ঘোষণা দিয়ে দিয়েছেন।
(সূরা মু’মিনূন: ৫)
১৩। নারীদের জাহান্নামে যাবার কারণ হিংসা ও খোটা দেওয়া
যে ১৫টি কারণে নারীরা জাহান্নামে যাবে তন্মধ্যে হিংসা একটি। হিংসা মানুষের অনেক আমলকে ধ্বংস করে।
যে সকল নারীরা অন্যের সুখ দেখে হিংসা বোধ করে এবং অন্যের উপকার করে খোঁটা দেয় তারা জাহান্নামি নারী। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ সকল নারীকে জাহান্নামে মুখচ্ছবি কুকুর আকৃতির এবং মুখ দিয়ে আগুন ঢুকিয়ে মলদ্বার দিয়ে বের হতে দেখেছেন।
১৪। নারীদের জাহান্নামে যাবার কারণ অন্যের হক নষ্ট
যে সকল নারীরা বিভিন্ন ধরনের ফরজ, নফল, ওয়াজিব অনেক ইবাদত করে থাকেন কিন্তু অন্যের হকের ব্যাপারে জেনেও না বোঝার ভান করে থাকেন বা অন্যের হক আদায় করতে উদাসীন। এসকল নারীরা বিভিন্নভাবে অন্যের হক নষ্ট করে থাকে।
যে ১৫টি কারণে নারীরা জাহান্নামে যাবে তন্মধ্যে স্বামীর হক নষ্ট করা, সন্তানের হক নষ্ট করা, শ্বশুর-শাশুড়ি হক নষ্ট করা, প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজনের হক নষ্ট করা মানব চরিত্রে ঘৃণিত কাজ। সুতরাং বলা যায় অন্যের হক নষ্টকারী নারীকে জাহান্নামের কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হবে।
১৫। নারীদের জাহান্নামে যাবার কারণ কুফরি কাজ
যে ১৫টি কারণে নারীরা জাহান্নামে যাবে তন্মধ্যে কুফরি অন্যতম যা একজন মুমিনকে ঈমানহারা করে দেয়। যে সকল নারীরা কুফরি কাজে লিপ্ত তাদের কোন ইবাদত কবুল হয় না। তারাই ইমানহারা হয়ে যায়।
কুফরি কাজের মধ্যে সবচেয়ে জঘন্য কুফরি হচ্ছে স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দেয়া। কুফরি করার মাধ্যমে যে নারী ঈমান হারিয়ে ফেলে সে নারী জান্নাতে যেতে পারবে না তাকে জাহান্নামের শাস্তি ভোগ করতে হবে।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ যে ১৫ টি কারণে নারীরা জাহান্নামে যাবে
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম যে ১৫ টি কারণে নারীরা জাহান্নামে যাবে।আশা করি আমাদের আজকের এই আর্টিকেল টি আপনাদের ভালো লেগেছে। যদি ভালো লাগে তাহলে এখনি শেয়ার করে দিন।