
কত বছর বয়স থেকে কৃমির ঔষধ খাওয়ানো যায় – আমাদের দেশের প্রতি পাঁচ জনের মধ্যে একজন ব্যক্তি কৃমি রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। শিশুদের ক্ষেএে কৃমি রোগে আক্রান্ত হওয়ার হার সবচেয়ে বেশি। সাধারণত শিশুরা যে ধরনের কৃমি রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে সেই কৃমিগুলোর নাম হল
- সুতাকৃমি
- বক্র কৃমি
- গোল কৃমি
- হুইপ ওয়ার্ম
কৃমি এমন একটি রোগ যার কারণে শিশু বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারে। যেমন- পেট ফুলে যাওয়া, ডায়রিয়া হওয়া, রক্তস্বল্পতায় ভোগা, পুষ্টির অভাব হওয়া, চুলকানো সমস্যা, শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা এবং শরীর দুর্বল অনুভব হওয়া।
কত বছর বয়সে থেকে কৃমির ওষুধ খাওয়ানো যায় এ বিষয়ে যখন ডক্টর প্রেসক্রিপশন লিখে দিয়ে থাকেন অনেক গার্জেনদের মনে প্রশ্ন থাকে যে কৃমির ওষুধ শীতকালে নাকি গরমকালে কোন সময় খাওয়ানো উত্তম হবে।
এটি নিয়ে চিন্তার কোন কারণ নেই আপনি আপনার শিশুকে বছরের যে কোন সময় যে কোন সিজনে কৃমির ওষুধ খাওয়াতে পারেন।কৃমির ওষুধ খাওয়ার জন্য শিশুর খালি পেট নাকি ভরাপেটে আছে এইসব বিষয়ে চিন্তা করার কোন প্রয়োজন নেই খালি পেট এবং ভরা পেট দুটি অবস্থায় ওষুধটি খাওয়াতে পারেন।
চিকিৎসকরা গবেষণা করার মাধ্যমে জানতে পেরেছেন, শিশুদের দেহে সাধারণত কৃমি তখনই প্রবেশ করার সুযোগ পায় যখন নখের ময়লা মুখে যেতে পারে বা অপরিষ্কার হাত মুখে নিলে এমন কি হামাগুড়ি দেওয়ার সময় পায়ের জীবাণু থেকেও কৃমি প্রবেশ করতে পারে।
কত বছর বয়স থেকে কৃমির ঔষধ খাওয়ানো যায়
কত বছর বয়সে থেকে কৃমির ওষুধ খাওয়ানো যায় এটি নিয়ে অনেকেই দ্বিধা দ্বন্দ্বতায় ভুলে থাকেন। আজকে এই পোস্টের মাধ্যমে আমি আপনাদের সঙ্গে যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি শেয়ার করব সেটি হচ্ছে শিশুটি কোন বয়সে উপনীত হলে তাকে অবশ্যই কৃমি ওষুধ খাওয়ানো শুরু করতে হবে।
- এক বছর হওয়ার পূর্বে শিশুকে কোনমতেই কৃমির ওষুধ খাওয়ানো যাবে না এতে শিশুর দেহে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে।এক বছর বয়সে থেকে কৃমির ওষুধ খাওয়ানো যায়।
- শিশুর বয়স যখন এক বছর সম্পন্ন হবে তখন ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী শিশুকে তার দেহের অবস্থা ও ওজন অনুযায়ী কৃমির ওষুধ খাওয়ানো যেতে পারে।
- ছয় মাস পর পর শিশুকে কৃমির ঔষধ খাওয়াতে হয়। একবার কৃমির ওষুধ খাওয়ানোর পর সাত থেকে দশ দিন গ্যাপ দিয়ে প্রাথমিক ডোজ খাওয়ানো উত্তম।
- কৃমির ঔষধ কৃমি মেরে ফেললেও কৃমির লার্ভা ও ডিম কে কখনোই মারতে পারে না যার কারনে কৃমি দ্বারা পুনরায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। তাই এক বছর হওয়ার পর শিশুকে অবশ্যই ছয় মাস পর পর নির্দিষ্ট ডেট অনুযায়ী কৃমির ওষুধ দিতে হবে।
শিশুর দু বছর হবার পর থেকে কৃমির ওষুধ সেই পরিমাণে খাবে যে পরিমাণ পরিবারের অন্যান্য বয়সের মানুষ খেয়ে থাকে। পরিবারের কোন সদস্য যদি কৃমির দ্বারা আক্রান্ত হয়ে থাকে তাহলে একজনের দেহ থেকে অন্য জনের দেহের কৃমি প্রবেশ করার ক্ষমতা রাখে। সুতরাং, শিশুর এক বছর হওয়ার পর থেকে শিশুকে কৃমি ওষুধ খাওয়ানোর ক্ষেত্রে পরিবারের সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।