- রাতে বাচ্চা কান্না করলে কোন সূরা পড়তে হয়:
- রাতে বাচ্চা কান্না করলে বিসমিল্লাহ পড়ে সূরা ফাতিহা পড়তে হয় :
- রাতে বাচ্চা কান্না করলে সূরা ফালাক পড়তে হয় :
- রাতে বাচ্চা কান্না করলে সূরা নাস পড়তে হয় :
- রাতে বাচ্চা কান্না করলে সূরা ইখলাস পড়তে হয় :
- রাতে বাচ্চা কান্না করলে সূরা আয়তুল কুরসি পড়তে হয় :
- Rk Raihan

রাতে বাচ্চা কান্না করলে কোন সূরা পড়তে হয় – বাচ্চা আল্লাহর তালার পক্ষ থেকে দেওয়া পিতা মাতার জন্য অন্যতম একটি নেয়ামত। আমাদের চারপাশে এমন অনেকের বাচ্চা আছে যাদের বাচ্চা একটু শান্তশিষ্ট্য হয়ে থাকে আবার কারো বাচ্চা আছে যারা একটু চঞ্চল হয়ে থাকে।
তাই একজনের বাচ্চার সাথে অন্যজনের বাচ্চার অমিল থাকা বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে হবে। আমাদের মধ্যে অনেক বাচ্চারা আছেন যারা দিনের বেলা কান্নাকাটি করে না কিন্তু রাতে ঘুমের সময় প্রচন্ড কান্নাকাটি করে এমনকি ভোররাত পর্যন্ত কান্নাকাটি করে থাকেন।
এমন অনেক পিতা-মাতা আছেন তারা জানতে চান রাতে বাচ্চা কান্না করলে কোন সূরা পড়তে হয়। আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব এমন কিছু সূরা যেগুলো পড়ে বাচ্চাদের ফু দিলে তাদের কান্না থেমে যেতে পারে আরঅখবা তারা রাতে কান্না নাও করতে পারে।
রাতে বাচ্চা কান্না করলে কোন সূরা পড়তে হয়:
বাচ্চার কান্না থামানোর জন্য বিশেষ কিছু সূরা হাদীসে বর্ণিত আছে সেগুলো হচ্ছে- সূরা ফালাক, সূরা নাস, সূরা ইখলাস, সূরা ফাতিহা এবং আয়তুল কুরসি।
রাতে বাচ্চা কান্না করলে বিসমিল্লাহ পড়ে সূরা ফাতিহা পড়তে হয় :
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَـٰنِ الرَّحِيمِ
বিসমিল্লাহির রহমা-নির রহি-ম।
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ
আলহামদু লিল্লাহি রব্বিল ‘আ -লামি-ন।
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তা’আলার যিনি সকল সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা।
الرَّحْمَـٰنِ الرَّحِيمِ
আররহমা-নির রাহি-ম।
যিনি নিতান্ত মেহেরবান ও দয়ালু।
مَالِكِ يَوْمِ الدِّينِ
মা-লিকি ইয়াওমিদ্দি-ন।
যিনি বিচার দিনের মালিক।
إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ
ইয়্যা-কা না’বুদু ওয়া ইয়্যা-কা নাসতাঈ’-ন
আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং শুধুমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি।
اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ
ইহদিনাস সিরা-তাল মুসতাকিম
আমাদেরকে সরল পথ দেখাও,
صِرَاطَ الَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ
সিরা-তাল্লা যিনা আনআ’মতা আ’লাইহিম গাইরিল মাগদুবি আ’লাইহিম ওয়ালা দ্দ-ল্লি-ন।
সে সমস্ত লোকের পথ, যাদেরকে তুমি নেয়ামত দান করেছ। তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি তোমার গজব নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে
রাতে বাচ্চা কান্না করলে সূরা ফালাক পড়তে হয় :
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ
ক্বুল আউযু বিরাব্বিল ফালাক।
বলুন, আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি প্রভাতের পালনকর্তার,
مِن شَرِّ مَا خَلَقَ
মিন শাররি মাখালাক্ব।
তিনি যা সৃষ্টি করেছেন, তার অনিষ্ট থেকে,
وَمِن شَرِّ غَاسِقٍ إِذَا وَقَبَ
ওয়া মিন শাররি গাসিক্বিন ইযা অক্বাব।
অন্ধকার রাত্রির অনিষ্ট থেকে, যখন তা সমাগত হয়,
وَمِن شَرِّ النَّفَّاثَاتِ فِي الْعُقَدِ
ওয়া মিন শাররিন নাফ্ফাসাতি ফিল্ উকাদ।
গ্রন্থিতে ফুঁৎকার দিয়ে জাদুকারিনীদের অনিষ্ট থেকে
وَمِن شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ
ওয়া মিন শাররি হাসিদিন ইযা হাসাদ।
এবং হিংসুকের অনিষ্ট থেকে যখন সে হিংসা করে।
রাতে বাচ্চা কান্না করলে সূরা নাস পড়তে হয় :
قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ النَّاسِ
কুল আ’উযুবিরাব্বিন্না-ছ।
বলুন, আমি আশ্রয় গ্রহণ করিতেছি মানুষের পালনকর্তার,
مَلِكِ النَّاسِ
মালিকিন্না-ছ
মানুষের অধিপতির,
إِلَـٰهِ النَّاسِ
ইলা-হিন্না-ছ।
মানুষের মা’বুদের
مِن شَرِّ الْوَسْوَاسِ الْخَنَّاسِ
মিন শাররীল ওয়াছ ওয়া-ছিল খান্না-ছ।
তার অনিষ্ট থেকে, যে কুমন্ত্রণা দেয় ও আত্নগোপন করে,
الَّذِي يُوَسْوِسُ فِي صُدُورِ النَّاسِ
আল্লাযি ইউওয়াছ ইসু ফী সুদুরিন্নাছ-।
যে কুমন্ত্রণা দেয় মানুষের অন্তরে
مِنَ الْجِنَّةِ وَالنَّاسِ
মিনাল জিন্নাতি ওয়ান্না-ছ।
জ্বিনের মধ্য থেকে অথবা মানুষের মধ্য থেকে।
রাতে বাচ্চা কান্না করলে সূরা ইখলাস পড়তে হয় :
قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ
কু’ল হুয়া ল্লা-হু আহাদ
বলুন, তিনি আল্লাহ, এক,
اللَّهُ الصَّمَدُ
আল্লা-হু স্সামাদ
আল্লাহ অমুখাপেক্ষী,
لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ
লাম ইয়ালিদ ওয়া লাম ইয়ুলাদ
তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কেউ তাকে জন্ম দেয়নি
وَلَمْ يَكُن لَّهُ كُفُوًا أَحَدٌ
ওয়া লাম ইয়াকু ল-লাহু কুফুওয়ান আহাদ!
এবং তার সমতুল্য কেউ নেই।
রাতে বাচ্চা কান্না করলে সূরা আয়তুল কুরসি পড়তে হয় :
اَللهُ لآ إِلهَ إِلاَّ هُوَ الْحَىُّ الْقَيُّوْمُ، لاَ تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَّلاَ نَوْمٌ، لَهُ مَا فِى السَّمَاوَاتِ وَمَا فِى الْأَرْضِ، مَنْ ذَا الَّذِىْ يَشْفَعُ عِنْدَهُ إِلاَّ بِإِذْنِهِ، يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيْهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَلاَ يُحِيْطُوْنَ بِشَيْئٍ مِّنْ عِلْمِهِ إِلاَّ بِمَا شَآءَ، وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ، وَلاَ يَئُودُهُ حِفْظُهُمَا وَ هُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيْمُ-
বাংলা উচ্চারণ: আল্লা-হু লা ইলা-হা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল ক্বাইয়্যুম। লা তা’খুযুহু সিনাতুঁ ওয়ালা নাঊম। লাহূ মা ফিস্ সামা-ওয়াতি ওয়ামা ফিল আরদ্বি। মান যাল্লাযী ইয়াশফাউ’ ই’ন্দাহূ ইল্লা বিইজনিহি। ইয়া’লামু মা বাইনা আইদিহিম ওয়ামা খালফাহুম, ওয়ালা ইউহিতূনা বিশাইয়্যিম্ মিন ‘ইলমিহি ইল্লা বিমা শা-আ’ ওয়াসিআ’ কুরসিইয়্যুহুস্ সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদ্বি, ওয়ালা ইয়াউ’দুহূ হিফযুহুমা ওয়া হুওয়াল ‘আলিইয়্যুল আ’জিম।
অর্থ: “আল্লাহ, যিনি ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই। যিনি চিরঞ্জীব ও বিশ্বচরাচরের ধারক। কোনো তন্দ্রা বা নিদ্রা তাঁকে পাকড়াও করতে পারে না। আসমান ও জমিনে যা কিছু আছে সবকিছু তারই মালিকানাধীন। তাঁর হুকুম ব্যতিত এমন কে আছে যে, তাঁর নিকটে সুপারিশ করতে পারে?
তাদের সম্মুখে ও পিছনে যা কিছু আছে সবকিছুই তিনি জানেন। তাঁর জ্ঞানসমুদ্র হতে তারা কিছুই আয়ত্ত করতে পারে না, কেবল যতুটুকু তিনি দিতে ইচ্ছা করেন তা ব্যতিত।
তাঁর কুরসি সমগ্র আসমান ও জমিন পরিবেষ্টন করে আছে। আর সেগুলোর তত্ত্বাবধান তাঁকে মোটেই শ্রান্ত করে না। তিনি সর্বোচ্চ ও মহান”।
আশাকরি এই সূরাগুলো পড়ে বাচ্চাকে রাতে ঘুমানোর আগে ফু দিলে বাচ্চা রাতে ঘুম থেকে উঠে বা ঘুমাতে যাওয়ার আগে কান্না করবে না। এতে পিতা মাতার এবং তাদের বাচ্চাও রাতে সুন্দরভাবে ঘুম সম্পন্ন করতে পারবে।