স্যাটেলাইট কিভাবে কাজ করে

23 Jan, 2024
স্যাটেলাইট কিভাবে কাজ করে
Rate this post

আমরা দৈনন্দিন জীবনে এমন কিছু কাজ করে থাকি যে কাজগুলো স্যাটেলাইট ছাড়া করা একদমই অসম্ভব। যেমন- টিভি দেখা, মোবাইলে বা ইলেক্ট্রিক ডিভাইসে নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা, একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করা, এ সকল কাজগুলো একদমই স্যাটেলাইট ছাড়া অচল বললেই চলে। স্যাটেলাইট কিভাবে কাজ করে এই নিয়ে আপনাদের মনে অনেক ধরনের প্রশ্ন থাকতে পারে।

আজকের আর্টিকেলটি লিখার মাধ্যমে আপনাদের সাথে শেয়ার করব স্যাটেলাইট কিভাবে কাজ করে।  বর্তমানে তথ্য প্রযুক্তির যুগে বিভিন্ন দেশ মহাকাশে স্যাটেলাইট প্রেরণ করছে।

সাধারণত স্যাটেলাইট বলতে ধারণা করা হয় মানুষের তৈরি কৃত্রিম উপগ্রহ। এটি এমন এক ধরনের যন্ত্র যেটি মহাশূন্যে প্রেরণ করা হয় যার ফলে এটি পৃথিবী এবং মহাকাশে যে সকল গ্রহ-উপগ্রহ রয়েছে সেগুলোকে প্রদক্ষিণ করে থাকে।

যেমন- পৃথিবী একটি উপগ্রহ যা সূর্য ও চন্দ্রের চারদিকে ঘুরে থাকে। ঠিক তেমনি স্যাটেলাইটও একটি কৃত্রিম উপগ্রহ যেটি মহাকাশে থাকা সকল ধরনের বস্তুর চারপাশে ঘুরতে থাকে।

মানুষ তার বিভিন্ন রকম কাজের সুবিধার জন্য মহাকাশে অনেক ধরনের স্যাটেলাইট প্রেরণ করেছে। এই স্যাটেলাইট গুলো বিভিন্ন রকম কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।

স্যাটেলাইট বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। যেমন- কিছু স্যাটেলাইট পৃথিবীর ছবি তোলার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে, আবার কোনো স্যাটেলাইট বিভিন্ন গ্রহ-উপগ্রহের ছবি সংরক্ষণ করার জন্য ব্যবহার করা হয়, আবার কিছু স্যাটেলাইট আছে যেগুলো আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিয়ে থাকে।

এছাড়াও স্যাটেলাইট এর মাধ্যমে সূর্য ও মহাকাশের ছায়াপথের ছবি তোলা যায়, মানুষের যোগাযোগের সুবিধার্থে টিভি সিগনাল, মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক স্থাপন করতে স্যাটেলাইটের বিকল্প নেই।

See also  পূর্ব বাংলার মুক্তির সনদ বলতে কী বোঝায়

স্যাটেলাইট কিভাবে কাজ করে

স্যাটেলাইট প্রধানত বিভিন্ন ধরনের ডিজাইনের হয়ে থাকে। কিন্তু এর বিশেষ দুইটি অংশ রয়েছে। একটি হচ্ছে এন্টেনা। আরেকটি হচ্ছে পাওয়ার সোর্স।

স্যাটেলাইট এমন একটি যন্ত্র যা পৃথিবী থেকে প্রায় ৩৬ হাজার কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থান করে থাকে। স্যাটেলাইটে তথ্য পাঠানোর জন্য পৃথিবী থেকে বেতার তরঙ্গ ব্যবহার করা হয়। এরপর সেই বেতার তরঙ্গের মাধ্যমে স্যাটেলাইট সেই তথ্যগুলো গ্রহণ করে থাকে যাকে amplification প্রক্রিয়া বলা হয়।

পরবর্তীতে স্যাটেলাইট সেই তথ্যগুলো মডিফাই করে পৃথিবীতে পাঠিয়ে থাকে। স্যাটেলাইট তথ্য গ্রহণ এবং পৃথিবীতে পাঠানোর জন্য দুইটি ভিন্ন ধরনের কম্পাঙ্ক তরঙ্গ ব্যবহার করে থাকে।

স্যাটেলাইট থেকে যে সিগন্যাল পৃথিবীতে আসে সেটি অনেকটা দুর্বল ও কম ক্ষমতা সম্পন্ন হয়। যার কারণে পৃথিবীতে আমরা যে ধরনের ডিভাইস ব্যবহার করি না কেনো তার জন্য এন্টেনা ব্যবহার করা হয় ফলে স্যাটেলাইট থেকে আসা তথ্যগুলো আমরা খুব সহজেই রিসিভ করতে পারি।

পরিশেষে বলা যায় যে, স্যাটেলাইট আমাদের দৈনন্দিন জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। স্যাটেলাইট ব্যতীত আমাদের জীবনের অনেক কাজ করা কঠিন হয়ে যাবে।

Rk Raihan

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *